অর্থনীতি বাঁচাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে
অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।
দুর্নীতির কারণে শুধু বদলি দিয়ে শাস্তি দিলে হবে না, মানুষের ভেতরকার
পরিবর্তন প্রয়োজন। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহপরিচালক ড. এ
কে এনামুল হক রোববার ঢাকা চেম্বার আয়োজিত এক সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক বলেন, দুর্নীতি যে খুব একটা কমেছে তা বলা যাবে না।
রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার ভবনে ‘বেসরকারি খাতের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের
অর্থনীতির বিদ্যমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পর্যালোচনা’– শিরোনামের সেমিনারে মূল প্রবন্ধ
উপস্থাপন করেন চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা
দুর্নীতিমুক্ত একটা সমাজ চাই। অভ্যুত্থানের পর আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ
চেয়েছিলাম। তবে তা পাইনি।’ তিনি আরও বলেন, গত অর্থবছরে জিডিপর অনুপাতে বেসরকারি
বিনিয়োগ গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অবস্থার আলোকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা
ফিরিয়ে আনতে হলে ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা আনা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আমলাতান্ত্রিক
জটিলতা দূর করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান
অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. মনজুর হোসেন বলেন, দেশের সামষ্টিক
অর্থনীতি কিছুটা হলেও স্থিতিশীল পর্যায়ে আছে, যা স্বস্তির বিষয়। মূল্যস্ফীতি বেশ
কমেছে, তবে চালের মূল্য ক্রমাগত বাড়ছে। চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা গেলে মূল্যস্ফীতি
আরও কমতে পারে। ঋণের সুদহার বেশি থাকা নাকি বাণিজ্যিক সহায়ক পরিবেশ
অনুপস্থিতির কারণে বিনিয়োগ বাড়ছে না– তা খতিয়ে দেখার ওপর তিনি জোর দেন।
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে পারলেও
মূল্যস্তর বেশ ওপরে রয়েছে। এর সঙ্গে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া বেশ আশঙ্কার।
তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেক কথা হলেও তা দমনে কার্যকর তেমন কোনো
উদ্যোগ এখনও চোখে পড়েনি।