রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করল যুক্তরাষ্ট্র
মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ
সরকারের প্রশংসা করল যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল রোববার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রশংসার কথা বলা হয়।
মার্কিন
পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়। শেয়ার করা হয়েছে এক্স
হ্যান্ডল ও ফেসবুক পেজে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুতির শিকার
রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের অন্যান্য জাতিগত গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্র।
মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ
সরকারের প্রশংসা করছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়,
মিয়ানমারের শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য অঞ্চলটির অন্যান্য দেশেরও প্রশংসা করে
যুক্তরাষ্ট্র।
মিয়ানমারের
রাখাইনে গণহত্যা থেকে প্রাণে বাঁচতে আট বছর আগের এই দিনে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল
শুরু হয়েছিল। এমন দিনে এই বিবৃতি দিল যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৭
সালে সীমান্তচৌকিতে ‘রোহিঙ্গা জঙ্গিদের’ হামলার অজুহাত তুলে গণহত্যা শুরু করে
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তখন প্রাণ বাঁচাতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয়
নেয়। পরেও অনেকে বাংলাদেশে এসেছে। আগে থেকে অনেক রোহিঙ্গা ছিল। সব মিলিয়ে এখন
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৪ লাখ
ছাড়িয়েছে। নিবন্ধিতদের বাইরেও রোহিঙ্গা রয়েছে।
বাংলাদেশে
আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের আর নিজ দেশে ফেরানো যায়নি। দুবার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছিল।
তবে প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। বরং গত দেড় বছরে নতুন করে এসেছে ১ লাখ ২৪ হাজার
রোহিঙ্গা।
বাস্তুচ্যুত
রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা কমছে। কারণ, আন্তর্জাতিক সহায়তা আগের মতো নেই। সব
মিলিয়ে হতাশা বাড়ছে রোহিঙ্গাদের মধ্যে।
এমন
পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের
সম্মেলনের আয়োজন করছে। প্রথমটি শুরু আজ কক্সবাজারে। সেখানে প্রধান অতিথি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। অন্য দুই সম্মেলনের
একটি হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। অন্যটি হবে ৬ ডিসেম্বর
কাতারে।