চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী খাস্তগীর স্কুলের মাঠ ‘বিক্রি’র তদন্ত শুরু দুদকের

চট্টগ্রাম নগরীর ঐতিহ্যবাহী ডা. খাস্তগীর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষী খেলার মাঠ বিক্রির ঘটনা সরেজমিন খতিয়ে দেখেছে দুদক। গতকাল রোববার দুপুরে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ সহকারী পরিচালক সায়েদ আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। তারা মাঠ পরিদর্শন করে। ভূমি অফিস থেকে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে।

দুদক কর্মকর্তা সায়েদ আলম বলেন, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের জায়গা বিক্রির দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় তা তদন্ত শুরু করেছি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকেও কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি।

দুদকের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আপেল মাহমুদ বলেন, সরেজমিন স্কুলের মাঠ পরিদর্শন করেছি। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনে শিগগির এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। 

দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে স্কুলের মাঠ বিক্রির অভিযোগ উঠার পর কমিশনের নির্দেশে ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে দুদক। সত্যতা পেলে যারা এর সঙ্গে জড়িত থাকবে; তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রামের খাস্তগীর স্কুলের সাড়ে ১৫ কাঠা খেলার মাঠ মাত্র ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় ২০০৬ সালে বিক্রি দেখানো হয়। সম্প্রতি জমির নামজারির জন্য আবেদন করা হলে বিষয়টি সামনে আসে। এতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, ভূমি অফিস ও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একাধিক কর্মকর্তার যোগসাজশে এ জালিয়াতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খাস্তগীর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চট্টগ্রামের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী স্কুল। এটি চট্টগ্রামের প্রথম বালিকা বিদ্যালয়। ১৪৭ বছরের এ প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারসহ দেশবরেণ্য অনেক নারী শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী। ২০২৪ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের স্বীকৃতিও পেয়েছে স্কুলটি। প্রতি বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে শিক্ষার্থীদের বোর্ড রেজাল্টে এক থেকে তিন নম্বরের মধ্যে কৃতিত্ব অর্জন করে আসছে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।