১ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়বে যমুনা ব্যাংক
প্রবাসী বিনিয়োগ
প্রতিবেদক: পুঁজি
বাজারে নিজেদের মূলধন বাড়ানোর
লক্ষ্যে অবস্থান আরো মজবুত করতে
১ হাজার কোটি টাকার নন-কনভার্টিবল, কুপন বিয়ারিং, সাবঅর্ডিনেটেড রিডিমেবল বন্ড
ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান যমুনা ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা
পর্ষদ।
মূলধন
বাড়ানোর লক্ষ্যে ১ হাজার কোটি টাকার নন-কনভার্টিবল, কুপন বিয়ারিং, সাবঅর্ডিনেটেড
রিডিমেবল বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান যমুনা ব্যাংক
পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ। ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে
বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)
সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যানুসারে ব্যাংকটি পঞ্চম
সাবঅর্ডিনেটেড এ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে তাদের টায়ার-২ মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করতে
চায়। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে এ বন্ড ইস্যু করবে ব্যাংকটি।
গত রোববার অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরের
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনসংক্রান্ত পরিচালনা পর্ষদের সভা থেকে এ
সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত
২০২৪ হিসাব বছরে ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর
মধ্যে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ এবং ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব
বছরে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ১৭ পয়সা, আগের বছর যা
ছিল ২ টাকা ৬৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য
(এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৬১ পয়সায়।
এদিকে ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য
এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৪ জুন ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বার্ষিক
সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান করেছে ব্যাংকটির পর্ষদ। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট
নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৪ মে।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে
বিনিয়োগকারীদের ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে
ব্যাংকটি। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৯১ পয়সা, আগের হিসাব
বছরে যা ছিল ১ টাকা ৯৫ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেষে ব্যাংকটির
এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৬৭ পয়সায়।
২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত
যমুনা ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৮৮২ কোটি ৭০
হাজার টাকা।
রিজার্ভে
রয়েছে ১ হাজার ১২৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৮৮ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার
১৬৫। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪৫ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ৭০, বিদেশী বিনিয়োগকারী দশমিক ২৩ ও
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ৪৯ দশমিক ৯১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
যমুনা ব্যাংকের ২৪% লভ্যাংশ
ঘোষণা, ছাড়বে বন্ড
৩১
ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে
তালিকাভুক্ত যমুনা ব্যাংক লিমিটেড। ওই বছরের জন্য ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের ২৪
শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ এবং ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস
লভ্যাংশ। সেই সঙ্গে পুঁজি বৃদ্ধি করতে ব্যাংকটি বন্ড ছাড়বে বাজারে।
গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ
হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এই তথ্য জানা
গেছে।
ডিএসইর ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০২৪ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস)
হয়েছে ৩ টাকা ১৭ পয়সা, আগের বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ২ টাকা ৬৮ পয়সা। ৩১
ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৪
টাকা ৬১ পয়সা।
গত এক বছরে যমুনা ব্যাংকের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২২ টাকা ২০
পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৬ টাকা ৪০ পয়সা।
আগামী ২৪ জুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)
অনুষ্ঠিত হবে। সে জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ মে।
ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, স্টক লভ্যাংশ দেওয়া
হয়েছে মূলত পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে; মজুত বা যে মুনাফা এখনো হয়নি, তার ভিত্তিতে
মুনাফা দেওয়া হয়নি। পরিশোধিত মূলধনেও হাত দেওয়া হয়নি।
২০২৩ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ২৬ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে যমুনা ব্যাংক।
এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস।
বন্ড ছাড়বে যমুনা
ব্যাংক
ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেওয়া আরেক ঘোষণায় যমুনা ব্যাংক বন্ড ছেড়ে পুঁজি
সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষণায় বলা হয়েছে, এক হাজার কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল কুপন
ছাড়া হবে। ব্যাংকটির পুঁজির ভিত্তি শক্তিশালী করতে এই বন্ড ছাড়া হবে। নিয়ন্ত্রক
সংস্থার অনুমোদন পাওয়া গেলেই এই বন্ড বাজারে ছাড়া হবে বলে জানানো হয়েছে।