যুক্তরাষ্ট্রে তিন নেতার আমন্ত্রণ নিয়ে বিভ্রান্তি, বিএনপির দুঃখ প্রকাশ
যুক্তরাষ্ট্রের
ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বিএনপির তিন নেতার আমন্ত্রণ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছে দলটি। বিষয়টি স্পষ্ট করে দলটি জানিয়েছে, অনুষ্ঠানটি মার্কিন সরকার আয়োজন করে না। এটি ‘জাতীয় প্রার্থনা প্রাতরাশ ফাউন্ডেশন’ আয়োজন করে থাকে, যা একটি নির্দলীয় সংস্থা।
রোববার
(১২ জানুয়ারি) রাতে বিএনপির মিডিয়া
সেলের পক্ষ থেকে এ
নিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া
হয়েছে।
মিডিয়া
সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মওদুদ হোসেন আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা
হয়েছে, ৬ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন
ডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য ‘জাতীয় প্রার্থনা প্রাতরাশ’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
তারেক রহমানের আমন্ত্রণ সম্পর্কে কিছু সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে,
বিএনপি মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে আমরা
জানাতে চাই যে, অনুষ্ঠানটি
মার্কিন সরকার আয়োজন করে না। জাতীয়
প্রার্থনা প্রাতরাশ ১৯৫৩ সাল থেকে
প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে
আসছে এবং এতে মার্কিন
রাষ্ট্রপতি, সিনেটর, কংগ্রেস সদস্য, ব্যবসায়ী এবং ১০০টিরও বেশি
দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি ‘জাতীয় প্রার্থনা প্রাতরাশ ফাউন্ডেশন’ আয়োজন করে থাকে; যা
একটি নির্দলীয় সংস্থা এবং রাজনৈতিক, সামাজিক
এবং ব্যবসায়িক অভিজাতদের একত্র হওয়ার, দেখা করার, আলোচনা
করার এবং একসঙ্গে প্রার্থনা
করার জন্য একটি বিশেষ
ফোরাম। এই ফাউন্ডেশন মার্কিন
নীতিনির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্ব শান্তি
ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত।
বিবৃতিতে
আরও বলা হয়, জাতীয়
প্রার্থনা প্রাতরাশের পক্ষ থেকে, অনুষ্ঠানের
সহসভাপতি, কংগ্রেস সদস্য বেন ক্লাইন (রিপাবলিকান)
এবং কংগ্রেস সদস্য থমাস আর. সুজি
(ডেমোক্র্যাট) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণটি জানিয়েছেন। এ সত্ত্বেও যদি
কোনো ব্যক্তি, মিডিয়া সূত্রে প্রকাশিত সংবাদের বিভ্রান্তির কারণ সৃষ্টি করে
থাকে, তবে আমরা আন্তরিকভাবে
দুঃখিত।
গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) মিডিয়া
সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান,
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট অনুষ্ঠানে মার্কিন নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড
ট্রাম্পের পক্ষ থেকে দলের
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির
সদস্য আমির খসরু মাহমুদ
চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এরপর
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো
হয়, এই ন্যাশনাল প্লেয়ার
ব্রেকফাস্ট অনুষ্ঠানের আয়োজনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।
ফলে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।