মোট রফতানি নয়, লাভের ওপর নগদ সহায়তা চায় এফইসিসিআই
দেশের রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক
রফতানিতে দীর্ঘদিন ধরে নগদ সহায়তা দিয়ে আসছে সরকার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে পোশাক রফতানিকারকদের
১ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেয় সরকার। তবে মোট রফতানির ওপর নয়, লাভের ওপর নগদ সহায়তা
দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) সেগুনবাগিচার জাতীয়
রাজস্ব ভবনে প্রাক বাজেট আলোচনায় এই প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজস্ব
বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
বাজেটে বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরে সংগঠনটির
সদস্য ও স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাছের এজাজ বিজয় বলেন, ‘এক্সপোর্টে যে
ক্যাশ ইনসেনটিভ দেয়া হয় সেটার উদ্দেশ্য রফতানিকে প্রমোট করা। এটা অনেক বছর ধরে হয়ে
আসছে কিন্তু তারপরেও প্রোডাকশন সাসটেইন করতে পারছে না। প্যানডেমিকের মধ্যে আমরা দেখেছি
এক মাসের মধ্যে সবার টাকা দরকার পড়ল। এখানে আমাদের পরামর্শ ছিল, লাভের ওপর ট্যাক্স
ইনসেনটিভ দেয়া যায় কি না। কেননা, এক্সপোর্টের বায়াররা অনেক স্মার্ট।’
ক্যাশ ইনসেনটিভের কথা জেনে বায়াররা ইচ্ছে
করে পণ্যের দাম কম বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যে ইনসেনটিভ
পাই সেটা বায়াররা জানে। তারা যখন প্রাইসিং করার সময় ইনসেনটিভের কথা মাথায় রেখে প্রাইসিং
করে। তারা বলে আপনারার তো ইনসেনটিভ পাচ্ছেন। এতে করে বায়াররা লাভবান হয়। এটার কি সুযোগ
আছে কি না, প্রফিটের পারসেন্টেজেস হিসেবে যদি ক্যাশ ইনসেনটিভটা দেয়া যেতে পারতো।’
নগদ লেনদেনকে নিরুৎসাহিত করতে ব্যাংকে
একটি নির্দিষ্ট সীমার ওপরে নগদ জমায় কর আরোপ, সম্পদ কর হার কমিয়ে আনা, ব্যাংক হিসাব
খোলার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান বাধ্যতামূলক করাসহ বিভিন্ন প্রস্তাব দেন সংগঠনটির
সদস্য নাছের এজাজ বিজয়।
রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো.
রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘এটা খুব ভালো প্রস্তাব। বিষয়টি নিয়ে আমরা
আলোচনা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মূল্য ঘোষণা
বাতিলেরই চিন্তা করছি। ভুয়া অডিট রিপোর্ট ঠেকাতে ডকুমেন্ট ভ্যারিফিকেশন (ডিভিএস) ছাড়া
কোনো অডিট রিপোর্ট দিলে তা গ্রহণ করা হবে না।’