গেটাফে কে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল

আলফ্রেড ডি স্টেফানো স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে লা লিগাতে গেটাফে কে ২-০ গোলে হারিয়েছে জিনেদিন জিদানের দল। করিম বেনজেমার গোলে দলটি এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান মেন্দি।

 

লিগে এ বছর এই প্রথম টানা দুটি জয় পেল রিয়াল। সেই সঙ্গে আবারও বার্সেলোনাকে টপকে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে ফিরল শিরোপাধারীরা।

 

সার্জিও রামোস, এডেন হ্যাজার্ড, ভালভেরদে সহ মূল দলের আট জন চোটাক্রান্ত। হলুদ কার্ডের খাড়ায় নিষিদ্ধ টনি ক্রুস। নিয়মিতদের মধ্যে মাত্র ১২ জন সুস্থ খেলোয়াড়কে নিয়ে দল সাজান জিদান। তাতে একাদশে হয় বেশ কিছু ওলট-পালট; একসঙ্গে মাঠে নামেন দুই লেফট-ব্যাক মার্সেলো ও মেন্দি।

 

৩-৪-৩ ছকে লেফটব্যাক মেন্দি খেলেন লেফট সেন্টারব্যাক হিসেবে। তরুণ মিডফিল্ডার মারভিন পার্ককে নামানো হয় রাইট উইংব্যাক হিসেবে, লেফট উইংব্যাকে অভিজ্ঞ মার্সেলো। ওদিকে বেনজেমার দুপাশে ভিনিসিয়ুস আর আসেনসিও। চোটের কারণে ক্রুস ছিলেন না, মাঝমাঠ সামলেছেন লুকা মদরিচ ও কাসেমিরো।

বল দখলে অবশ্য শুরু থেকেই আধিপত্য করে রিয়াল। তবে আক্রমণে ছিল না তেমন ধার। আশানুরূপ ছিল না মাঝমাঠ ও রক্ষণও।

 

তারপরও শুরুর দিকেই দারুণ দুটি সুযোগ পায় তারা। কিন্তু সাফল্য মেলেনি; পঞ্চম মিনিটে ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে কাসেমিরো উড়িয়ে মারার আট মিনিট পর বেনজেমার হেড হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।

 

প্রথমার্ধের হালকা বৃষ্টি বিরতির পর নামে মুষলধারে। এর মাঝে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুই মিনিটে আরও দুটি ভালো সুযোগ নষ্ট হয় রিয়ালের। এবারও সেই বেনজেমা ও কাসেমিরো। মার্কো আসেনসিওর দারুণ পাস ডি-বক্সে ডান দিকে পেয়ে জোরালো শট নেন ফরাসি ফরোয়ার্ড, ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। দ্বিতীয় সুযোগে যথেষ্ট সময় পেয়েও প্রতিপক্ষের পায়ে মারেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।

 

৫৮তম মিনিটে ম্যাচে প্রথম সুযোগ পায় গেটাফে । কিন্তু ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও হতাশা করেন কুকুরেইয়া।

অবশেষে ৬০তম মিনিটে মেলে গোলের দেখা। ডান দিক থেকে ভিনিসিউস জুনিয়রের দারুণ ক্রসে লাফিয়ে নেওয়া হেডে দলকে এগিয়ে দেন বেনজেমা। আসরে তার গোল হলো ১১টি।

ছয় মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। বাঁ দিক থেকে মার্সেলোর ছয় গজ বক্সে বাড়ানো ক্রসে টোকা দিয়ে বল জালে পাঠান মেন্দি।

এ জয়ের ফলে ২২ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৪৬। অন্যদিকে তিনে থাকা বার্সার পয়েন্ট ২১ ম্যাচে ৪৩। ২০ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।