ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং তাঁর ছেলে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদের প্রায় ২০ কোটি শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এই শেয়ারের বাজারমূল্য ৮১৯ কোটি টাকা। ব্যাংকটির মোট শেয়ারের যা প্রায় ২৩ শতাংশ। ব্যাংক এশিয়ায় ১২৯ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের মামলায় গতকাল রোববার ঢাকার অর্থঋণ আদালত-৫-এর বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ব্যাংক এশিয়া সূত্র জানিয়েছে, ব্যক্তিগত গ্যারান্টির বিপরীতে ব্যাংক এশিয়া থেকে ঋণ নেন সাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং তাঁর ছেলে সায়েম আহমেদ। এই ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটির কাছে কোনো স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক নেই। ঋণ আদায়ের সুবিধার্থে এই শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করে ব্যাংক। সেখানে বলা হয়, তাদের আবেদনে দুই দফা এই ঋণ পুনঃতপশিল করেও তারা টাকা পরিশোধ করছে না। এখন ব্যাংক এশিয়ার ঋণ আদায়ের সুবিধার্থে ডাচ্-বাংলার শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে কেন এই শেয়ার অবরুদ্ধ করা হবে না– জানতে চেয়ে ব্যাংক এশিয়াকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ডাচ্-বাংলার শেয়ার যেন হস্তান্তর করতে না পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতের আদেশের কপি পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কোম্পানি সেক্রেটারি এবং শেয়ারধারক ব্রোকারেজ হাউস শাকিল রিজভি স্টক লিমিটেডের এমডি বরাবর। সব পক্ষকে অবহিত করতে নোটিশের কপি দুটি পত্রিকায় ছাপানোর নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

আদালতে উত্থাপিত নথি অনুযায়ী, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আহমেদের নামে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে শেয়ার রয়েছে ১৭ কোটি ৭৬ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৪টি। গতকাল প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ছিল ৪১ টাকা ১০ পয়সা। সে অনুযায়ী এই শেয়ারের মোট মূল্য ৭৩০ কোটি ছয় লাখ টাকা। আর তাঁর ছেলে সায়েম আহমেদের নামে শেয়ার রয়েছে দুই কোটি ১৭ লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৭টি। যার বাজারমূল্য ৮৯ কোটি ৩৪ লাখ। বাবা ও ছেলের নামে ১৯ কোটি ৯৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৩১টি শেয়ারের যার বাজারমূল্য ৮১৯ কোটি ৪০ লাখ।