ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সাইবার বুলিং প্রতিরোধ এবং নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে চিহ্নিত কয়েকটি ফেসবুক পেজ বন্ধ করে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা বলবৎ রাখার অনুরোধ জানানো হবে।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফররুখ মাহমুদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চ’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-১’ এবং ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-২’সহ কয়েকটি অনলাইন পেজ বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা ছড়াতে পারে। নির্বাচন কমিশন মনে করছে, এগুলো বন্ধ করা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ ব্যাহত হতে পারে।

এছাড়া, গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন ক্যাম্পাসে যেসব সেবা কার্যক্রম চালাচ্ছে, সেগুলোও নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ কারণে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংগঠনটির সব কার্যক্রম এবং শাটল সার্ভিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর করতে ক্যাম্পাসে যেসব প্রচারণামূলক ব্যানার ও বিলবোর্ড টানানো হয়েছে, তা সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কোনো প্রার্থী বা পক্ষ স্বেচ্ছায় সেবামূলক কাজে অংশ নিতে পারবেন না। উপঢৌকন বিতরণ, আপ্যায়ন বা অর্থ সহযোগিতা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। প্রশাসনের মতে, এসব কর্মকাণ্ড আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে।

প্রচারণার সময়সীমা নির্ধারণ করে জানানো হয়েছে, ২৫ আগস্ট পর্যন্ত কোনো প্রার্থী হল বা ক্যাম্পাসে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। ২৬ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা পর্যন্ত প্রার্থীরা নির্ধারিত নিয়মে প্রচারণা চালাতে পারবেন। তবে এ সময়েও সামাজিক বা সেবামূলক সহযোগিতা, ধর্মীয় স্থানে প্রচারণা বা মজলিশ-মাহফিল আয়োজন করা যাবে না। এসব কর্মকাণ্ড আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে এবং নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ধারা-১৭ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।