রাজকুমার হ্যারিকেও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া করবেন ট্রাম্প?
ব্রিটিশ
রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে ২০২০ সালের
জুনে প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী
মেগান পারি জমান যুক্তরাষ্ট্রে।
বর্তমানে তারা দেশটির ক্যালিফোর্নিয়ার
মন্টোসিটোতে বসবাস করছেন।
তবে
বিপত্তি বাঁধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তনের পর। কেননা, দ্বিতীয়বার
প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই হ্যারির ভিসা
সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল
ট্রাম্পকে। তিনি ২০২৪ সালের
শুরুর দিকে একটি সাক্ষাৎকারে
জানিয়েছিলেন, যদি ক্ষমতায় আসেন,
ব্রিটেনের রাজকুমারের মিথ্যাভাষণের বিষয়ে পদক্ষেপ করবেন।
যার
ফলে অনেকেই ধারণা করছিলেন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই দম্পতিকেও
‘অবৈধ অভিবাসী’ বলে দেশে ফেরত
পাঠিয়ে দেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যদিও
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই
প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, এখনই
তেমন কোনো ভাবনা নেই
তার।
নিউইয়র্ক
পোস্ট-কে ট্রাম্প বলেছেন,
‘আমি এখনই ওটা করতে
চাই না। তাকে (হ্যারিকে)
ছেড়ে দিতে চাই। নিজের
স্ত্রীকে নিয়ে যথেষ্ট সমস্যায়
আছেন উনি। আর সমস্যা
বাড়াতে চাই না।
২০২০
সালে হ্যারি এবং মেগান ব্রিটেনের
রাজপরিবার ছেড়ে মার্কিন দেশে চলে যান।
ক্যালিফোর্নিয়ায় পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন তারা।
পরে হ্যারির যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
তার
বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভুল তথ্য দিয়ে
ভিসার আবেদন করেছিলেন ব্রিটেনের রাজকুমার। নিজের মাদক সেবন সংক্রান্ত
কিছু তথ্য তিনি গোপন
করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্দিষ্ট কিছু ভিসার আবেদনে
অতীতে মাদক সেবনের রেকর্ড
আছে কিনা, জানতে চাওয়া হয়। মাদক সেবন
করে থাকলে ভিসা বাতিল করা
হয়।
হ্যারি
ভিসার আবেদনে জানান, তিনি কোনো মাদক
সেবন করেননি। কিন্তু বিতর্ক দানা বাঁধে তার
আত্মজীবনী প্রকাশের পর। সেখানে মাদক
সেবনের কথা উল্লেখ করেছিলেন
ব্রিটেনের রাজকুমার।
হোয়াইট
হাউসের বসার পর থেকে
অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ শুরু
করেছেন ট্রাম্প। শয়ে শয়ে মানুষকে
অবৈধ অভিবাসী বলে চিহ্নিত করে
তিনি নিজের দেশে ফেরত পাঠাচ্ছেন।
প্রশ্ন
উঠেছে, হ্যারি-মেগানকেও কি তাহলে ব্রিটেনে
ফেরত পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র? যদি
ভিসার আবেদনে হ্যারি মিথ্যা বলে থাকেন, তবে
তার অভিবাসনও তো অবৈধ। কিন্তু
এখনই হ্যারির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বা তাকে যুক্তরাষ্ট্র
ছাড়া করার ভাবনা নেই
ট্রাম্পের।