ফিক্সিং ইস্যুতে সাইফউদ্দিনের পাশে আছে রংপুর রাইডার্স
বিপিএলে
ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে। বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক ম্যাচ নিয়ে বিসিবি
ও আকু (অ্যান্টি করাপশন ইউনিট) কাজ করছে, যেখানে দেশি-বিদেশি কিছু ক্রিকেটারের নাম
উঠে এসেছে। তাদের মধ্যেই একজন রংপুর রাইডার্সের পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে তার বোলিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে তার
করা নো বল ও অতিরিক্ত বলের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
ম্যাচটিতে
সাইফউদ্দিন তিন ওভার বল করে অস্বাভাবিকভাবে রান দিয়েছেন এবং শেষ দুই ওভারে দুটি করে
নো বল করেন। বিশেষ করে শেষ ওভারে ১০টি ডেলিভারি করা এবং একটি নো বলের উচ্চতা দেখে অনেকের
সন্দেহ হয়েছে, যা আকস্মিকভাবে স্বাভাবিক মনে হয়নি। এ কারণেই বিসিবি ও আকু বিষয়টি গভীরভাবে
পর্যবেক্ষণ করছে।
তবে রংপুর
রাইডার্সের টিম ডিরেক্টর শাহনিয়ান তানিম সাইফউদ্দিনের পক্ষ নিয়ে বলেছেন, খারাপ দিন
যে কোনো খেলোয়াড়েরই আসতে পারে, তাই এক ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখে কাউকে সন্দেহ করা
ঠিক নয়। তিনি বলেন, 'দিন শেষে যদি সে এমন কিছুই করে না থাকে, অবশ্যই সেগুলো খেলোয়াড়কে
আঘাত করে। যখন ও ব্যক্তিগতভাবে দেখবে যে ওকে নিয়ে এসব আলোচনা হচ্ছে, তখন অবশ্যই ও কষ্ট
পাবে। কারণ আমরা সবাই মানুষ এবং আমাদের পরিবার রয়েছে, যাদের কাছে এইগুলো নিয়ে জবাবদিহি
করা লাগে। যখন আলোচনায় তার নাম এসেছে, সেই সময়ই আমি সাইফউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেছি।
বাইরের মানুষ কিংবা গণমাধ্যম অনেক কিছুই বলতে পারে, তবে আমাদের কাজ হলো ঘরের মধ্যে
যাতে ফাটল না ধরে, সেদিকে নজর রাখা। আমরা গতকালকেও একসঙ্গে সবাই রাতের খাবার খেয়েছি,
সেখানেও এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়নি। আমাদের লক্ষ্য পরবর্তী ম্যাচে জেতা এবং নিশ্চিত করা
ফাইনাল খেলা ও জেতা।'
এছাড়া পুরো
বিপিএলে ম্যাচ পাতানো নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, সে বিষয়ে শাহনিয়ান তানিম বলেন, 'ক্রিকেট
এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে কোনো বোলার এক ওভার খারাপ করলেই সন্দেহের চোখে দেখা
হয়। বিসিবি ও আকু কঠোর পরিশ্রম করছে এবং আমরা তাদের তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।'
একপর্যায়ে
বিপিএলে কেউ ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদেরও কঠোর শাস্তি দাবি করেন রাইডার্সের
টিম ডিরেক্টর। তিনি বলেন, 'আমার কাছে মনে হয় যেই অভিযোগগুলো উঠছে, (ম্যাচ পাতানো নিয়ে)
সেগুলো যদি প্রমাণ হয় তাহলে সেই খেলোয়াড়কে যেভাবেই হয়, সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া উচিত।
ফ্রাঞ্চাইজি হোক কিংবা খেলোয়াড় সবার বেলাতেই একই হওয়া উচিত। আমি জানি না অভিযোগগুলো
সত্য কি না, এখানে আমার থেকে ভালো অভিজ্ঞ লোকেরা আছে, যারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য
কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু আমি একবারে মন খুলে বলতে চাই, ব্যক্তিগতভাবে হোক কিংবা রংপুর
রাইডার্সের পক্ষ থেকে হোক, কোনো খেলোয়াড় বা কোনো ফ্রাঞ্চাইজি যদি এই রকম অপরাধমূলক
কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে, তার অবশ্যই বড় শাস্তি হওয়া উচিত। বিপিএলের মান রক্ষা করার জন্য
কাউকেই ছাড়া উচিত না।'