পার্বত্য জেলাগুলোতে পর্যটকের ঢল

মহান বিজয় দিবসের সরকারি ছুটিতে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এসব এলাকার অধিকাংশ হোটেল-মোটেলেই এখন আর কোনো কক্ষ খালি নেই।

রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, বার্গী লেক ভ্যালি, পুলিশের পলওয়েলসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বেড়াতে আসা পর্যটকরা কাপ্তাই হ্রদে নৌ ভ্রমণসহ পর্যটন স্পটগুলোতে সময় কাটিয়েছেন। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের বাইরে থেকে আসা পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। শীত মৌসুম হওয়ায় রাঙামাটির ছাদ-খ্যাত সাজেক ভ্যালিতেও ভিড় বেড়েছে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের।

সাজেক হিলভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্র চাকমা জানান, একদিকে শীতের মৌসুম আর অন্যদিকে বিজয় দিবসের সরকারি ছুটি থাকায় সোমবার সাজেকে দুই হাজারের বেশি পর্যটক এসেছেন। ইতোমধ্যে ১১২টি রিসোর্ট-কটেজের অধিকাংশ রুম বুকড রয়েছে। রাঙামাটি হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, বিজয় দিবসে সরকারি ছুটি থাকায় সোমবার রাঙামাটি ঝুলন্ত সেতুতে প্রায় ছয় হাজার দর্শনার্থী এসেছেন। 

বিজয় দিবসের সরকারি ছুটিতে খাগড়াছড়ির অন্যতম পর্যটন স্পট জেলা পরিষদ পার্ক, রিছাং ঝর্ণা, আলুটিলাসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটকদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র ও রিছাং ঝরনায় শিক্ষার্থীসহ সবার জন্য এদিন বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। এ ছাড়া পার্বত্য জেলা পরিষদের হর্টিকালচার পার্কও উন্মুক্ত ছিল শিশুদের জন্য। 

এ বছর পর্যটকরা সরাসরি দীঘিনালা চলে যাওয়ার সুবিধা পাওয়ায়, খাগড়াছড়ি সদরে তাদের রাত্রিযাপনের হার কমেছে। এতে কিছুটা মন্দা তৈরি হয়েছে খাগড়াছড়ি সদরের হোটেল-মোটেল ব্যবসায়।